কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
গাজরে কি পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে সাধারণত এই বিষয়টি আমরা অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে শীতের সময় আমাদের মুখ থেকে প্রচুর পরিমাণে চামড়া উঠতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আজকের আর্টিকেল।
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরের ভিন্ন কাজে আসে। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে? এ বিষয়টির সাথে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নেব।
সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
- কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
- কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে
- কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়
- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
- ত্বকের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান
- মুখের জন্য কোন ভিটামিন ভালো
- কোন ভিটামিন খেলে ত্বক ফর্সা হয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে? এই বিষয় গুলো শীতের সময় সবচাইতে বেশি শোনা যায়। শীত আসলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রকাশ পায়। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরের চামড়া উঠা সবচাইতে বেশি মুখের চামড়া উঠতে থাকে। তাছাড়া যখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয় সাধারণত তখন প্রচুর পরিমাণে চামড়া উঠতে শুরু করে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে রুক্ষ এবং শুষ্ক সাধারণত তাদের ত্বকে এই ধরনের সমস্যা গুলো বেশি লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুনঃ খুব বেশি ভিটামিনের অভাব হলে কি খাবেন
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় শুধু মুখের চামড়া উঠে আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় হাত-পা সহ সম্পূর্ণ শরীরের চামড়া উঠতে শুরু করে। ভিটামিনের অভাব ছাড়াও ত্বকের চামড়া ওঠার অন্যতম বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে এগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হলো রোদে পোড়া। যারা দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকে সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে চামড়া উঠে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে মুখ সহ সম্পূর্ণ শরীরের চামড়া উঠতে শুরু করে।
ভিটামিন ই এবং জিংক এর অভাব -- ভিটামিন ই এর অভাব দেখা দিলে ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়। ভিটামিন ই হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে ত্বকের যে সকল ক্ষতি হয়ে থাকে সাধারণত এগুলো থেকে রক্ষা করে। এই ভিটামিনের অভাব দিলে আমাদের ত্বকের কোষের কার্যকারিতা কমে যায় এবং সুস্থ ত্বক অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাধারণত তাই বলা যায় যে ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে চামড়া উঠতে শুরু করে। তাছাড়া জিংক এর অভাবেও আমাদের মুখের চামড়া উঠতে থাকে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়? গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। বর্তমান সময়ের চুলকানি একটি মারাত্মক সমস্যা। আমাদের শরীরের প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য আলাদা আলাদা ভিটামিন এর প্রয়োজন। যদি কোন ভিটামিন এর অভাব দেখা দেয় তাহলে শরীরের সেই ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে যে কোন ভিটামিন এর কারণে চুলকানি হয়? অ্যালার্জি জনিত কারণেও চুলকানি হতে পারে। কিন্তু সকল ধরনের চুলকানি কিন্তু এলার্জির কারণে হয় না।
ভিটামিন সি এর অভাব -- অতিরিক্ত গ্রহণও যাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ চুলকায় সাধারণত তাদের ত্বক শুষ্ক থাকার প্রবণতা সবচাইতে বেশি এবং তাদের ত্বকের মধ্যে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বক জ্বালাপোড়া করে অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকায়। ভিটামিন সি এর মধ্যে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা আমাদের কোলাজেন উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আর এই উপাদানটি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
ভিটামিন ডি এর অভাব -- সকাল বেলার সূর্যের তাপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন আমাদের হাড় এবং দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া শরীরের ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি না থাকার কারণে ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়। তাছাড়া শুষ্ক ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানি হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে ভিটামিন ডি এর অভাবে চুলকানি সমস্যা হয়। তাই নিয়মিত ভিটামিন ডি নিতে হবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় এর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন এর অভাব। আমাদের শরীরে যদি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তাহলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের এই দুর্বলতা দূর করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ভিটামিন জাতীয় খাবার নিয়মিত খেয়ে ভিটামিন এর অভাব পূরণ করতে হবে।
ভিটামিন বি১২ এর অভাব -- ভিটামিন বি১২ এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যখন আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় সাধারণত তখন যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হল অবসাদ, অতিরিক্ত ক্লান্তি, বিরক্তি, বিভ্রান্তি, বিষণ্ণতা, যেকোনো কাজে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, হতাশা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তা ছাড়া এই ভিটামিন এর অভাবে আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব আমাদের শরীরে প্রকাশ না পাওয়ার কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে এই রোগ নির্ণয় করতে পারে না।
ভিটামিন বি১২ এর অভাবের কারণ -- ভিটামিন বি১২ অবাক হওয়ার মূল দুটি কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে রক্তস্বল্পতা অর্থাৎ শরীরে রক্ত একেবারে কমে যাওয়া এবং অন্যটি হলো ভিটামিন বি১২ না থাকা। যখন শরীরে রক্তের স্বল্পতা হয়ে থাকে সাধারণত তখন ইমিউন সিস্টেম পেটের স্বাস্থ্যকর কোষ ধ্বংস করে দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য খাওয়ার ফলেও আমাদের শরীর ভিটামিন শোষণ করতে পারে না। আর এই কারণেই ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে
কোন ভিটামিনের অভাবে পায়ের চামড়া উঠে? ইতিমধ্যে আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা চলে আসার কথা। যে ভিটামিনের কারণে আমাদের মুখের চামড়া উঠে সাধারণত একই ভিটামিনের কারণে আমাদের হাত পায়ের চামড়া উঠতে থাকে। আমাদের ত্বকগুলো যখন শুষ্ক হয়ে যায় সাধারণত তখন চামড়া উঠতে থাকে। আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় সাধারণত তখন অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়। আর এই শুষ্কতার কারণেই চামড়া উঠতে শুরু করে।
এছাড়াও হাত পা এবং মুখের ত্বকের চামড়া উঠার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাব। আর এখান থেকে মুক্তি দিতে ভিটামিন ই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। ভিটামিন ই এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণত তাই এই উপাদানটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী। এছাড়াও হাত-পায়ের চামড়া উঠার পেছনে যে সকল পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমিষ, লৌহ, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়? যাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে চুল পেকে যায় সাধারণত তাদের মুখে এই ধরনের প্রশ্নগুলো বেশি শোনা যায়। চুল পাকার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন এর অভাব। ত্বকের মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে মেলানিন নামে রঞ্জকের ঘনত্বের আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ হয়ে থাকে। চুল যেহেতু আমাদের মাথা থেকে গজায় তাই সেই জায়গাতেও মেলানিন উৎপাদন হয় আর এর ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে আমাদের চুলের রং নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
বংশগত কারণে -- চুলের রং এবং গায়ের রং কেমন হবে এ বিষয়টি যেমন অনেকটা বংশগত ভাবে নির্ধারিত ঠিক একই রকম ভাবে চুল পেকে যাওয়ার বিষয়টিও বংশগত কারণে হয়।
রোগের কারণে -- অকালে চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের রোগ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, থাইরয়েডের সমস্যা হলে, এলার্জিজনিত সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে অকালে চুল পেকে যায়।
খাবার উপাদানের ঘাটতির কারণে -- আমরা যে সকল খাবার খায় এগুলোর মধ্যে যদি ভিটামিন বি-১২, বি-৬, বায়োটিন, ভিটামিন ডি-৩, ভিটামিন ই, আয়রন ও কপার না থাকে তাহলে আমাদের শরীরে এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়। আর এই পুষ্টি উপাদান এর অভাবের কারণেই চুল পাকে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে -- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা চুলের বৃদ্ধি এবং গঠনের ওপর প্রভাব ফেলে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করে সাধারণত তাদের চুল আগে পেকে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান সহ বিভিন্ন ধরনের নেশা করার কারণে এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদের শরীর শুকিয়ে যাওয়ার পেছনেও ভিটামিনের অভাব রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য যে সকল ভিটামিন এর প্রয়োজন রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে যেমন অস্টিওপরোসিস, বিষণ্ণতা, জরায়ু ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ডায়াবেটিসহ আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। তাছাড়া এই ভিটামিনের অভাব হলে আমাদের শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে শুকিয়ে যায়। এই ভিটামিনের অভাব বোঝার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো শরীর শুকিয়ে যাওয়া।
ত্বকের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান
ত্বকের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে করা যায়। ত্বকের চামড়া উঠা বন্ধ করতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে হবে এবং ত্বক আদ্র রাখতে হবে। আপনার ক্ষেত্রে যদি এই সমস্যাটি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন তা জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ ডালিম কিভাবে রক্তে প্লাটিলেট বাড়ায় জানুন
- ত্বকের চামড়া উঠার সমস্যার সমাধানে কার্যকরী একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা জেল। ত্বকের যেখানে সবচাইতে বেশি চামড়া উঠে সেখানে সারারাত অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ত্বকের চামড়া উঠার সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নারিকেলের তেল। তাই রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে অবশ্যই ত্বকে নারিকেলের তেল ব্যবহার করে ঘুমাবেন এতে করে আপনার ত্বক নরম হবে এবং চামড়া ওঠার সমস্যা দূর হবে।
- শরীরের যে কোন স্থানের চামড়া ওঠার সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি উপাদান হলো মধু। হাতের তালু, পায়ের পাতা বা তালু সহ ত্বকের যেখানে চামড়া উঠে সেখানে মধু ব্যবহার করে রাখুন। দ্রুত ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ হিসেবে ভূমিকা রাখে মধু।
- যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে চামড়া উঠে সাধারণত তাদের পেট্রোলিয়াম বা অন্যান্য তেল জাতীয় ক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো ব্যবহার করার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে চামড়া উঠে থাকে।
- যারা গরম পানিতে গোসল করে সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে শরীরের চামড়া ওঠার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তাই গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার অভ্যাস করুন। গরম পানি ব্যবহার করার ফলে ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়।
- শরীরের চামড়া ওঠার সমস্যা দূর করার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো বেকিং সোডা। গোসলের পানিতে সামান্য পরিমাণে ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করলে চামড়া ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
মুখের জন্য কোন ভিটামিন ভালো
মুখের জন্য কোন ভিটামিন ভালো? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বেশ কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী। যখন আমাদের শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হয় সাধারণত তখন আমাদের ত্বক অসুন্দর হয়ে যায়। বেশ কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের মুখের জন্য উপকারী।
ভিটামিন সি -- এই ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের ভেতর ও বাইরে দুই স্তরেই ভালো কাজ করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। ভিটামিন সি কোষকলা উৎপাদন করে যা প্রোটিন ত্বককে দৃঢ় ও নমনীয় করতে সাহায্য করে তাছাড়া এই ভিটামিনের কারণে বয়সের ছাপ অনেকটা কমে যায় এবং ত্বক টনটনে হয়।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স -- বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন বি-থ্রি। এ ভিটামিন নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের মসৃণভাব বাড়াতে, ত্বকের মধ্যেকার বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। এই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বকে সেরামাইডস ও ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরিতে ভূমিকা রাখে এবং ত্বকের সুরক্ষা দেই।
ভিটামিন ই -- আমাদের ত্বকের জন্য যে সকল ভিটামিন প্রয়োজন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ই। এই ভিটামিনকে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয় যা আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কোন ভিটামিন খেলে ত্বক ফর্সা হয়
কোন ভিটামিন খেলে ত্বক ফর্সা হয়? যারা এই ধরনের প্রশ্ন করে সাধারণত তাদেরকে বলে দিতে চাই ভিটামিন খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক ফর্সা হয় না। বংশগত কারণে অনেক সময় ত্বকের রং কেমন হবে এ বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদি মেলানিনের ঘনত্ব বেশি হয় তাহলে রং কালো হয়। যদি এই উপাদানের ঘনত্ব কম হয় তাহলে গায়ের রং সেই অনুযায়ী ফর্সা হয়। তবে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য উত্তপ্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ভিটামিন সি। ভিটামিন এ সি সমৃদ্ধ খাবার টক ফল কমলা, লেবু, আঙুর জাতীয় ফল, মিষ্টি লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, টমেটো ইত্যাদি এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিতভাবে কোন ভিটামিনের অভাবে কোন ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সাধারণত এ বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া। কারণ এ বিষয়গুলো জানা থাকলে সে ভিটামিন গুলো খেয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারব।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে ভিটামিন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url