তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয়তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আমরা জানি যে গভীর রাতে আল্লাহ তাআলাকে খুশি করার জন্য যে নামাজ পড়তে হয় সাধারণত তাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে। কিন্তু অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সঠিকভাবে জানে না।

তাহাজ্জুদ-নামাজ-পড়ার-নিয়ম

আপনি যদি মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে চান তাহলে আপনার উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়? অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া। এই গুরুত্বপূর্ণ নামাজ নিয়ে আমাদের আর্টিকেল।

সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের আমরা জানাবো। অনেকে আছেন যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান কিন্তু কিভাবে পড়বেন এবং তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানেন না। আবার অনেকেই আছেন হয়তো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ছেন কিন্তু এটি সঠিক ভাবে হচ্ছে না তাই আপনাদের জন্য আজকে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানাতে চলেছি।

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের রাতে নামাজ পড়ার নিয়ম - শবে কদরের ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো নফল এবাদত। আল্লাহ তায়ালা নফল এবাদতকারীকে অনেক পছন্দ করেন তাই আমাদের উচিত এ তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে এই আমল করা। রাসূলুল্লাহ সাঃ দুই রাকাত দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। কখনো বা ৪ রাকাত ৮ রাকাত অথবা ১২ রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেছেন। আপনি চাইলে এটি দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতে পারেন।

আমরা যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবেই এ নামাজ পড়া হয়ে থাকে সূরা ফাতেহার পর যে কোন সূরা করতে পারেন। তবে এই নামাজের কেরাত সূরা ও রুকুগুলো লম্বা করা উত্তম। এই নামাজ একান্ত ও নিরিবিলি আদায় করতে হয়। মনের সকল চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহ তাআলার কাছে পেশ করে থাকে। নামাজে কেরাত আপনি জোরে বা আস্তে করতে পারবেন দুইভাবেই এটি করা জায়েজ আছে।

নামাজের নিয়মঃ

  • উত্তম রূপে অজু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমা "আল্লাহু আকবার" বলে নিয়ত বাঁধুন।
  • এরপর ছানা পড়া, সুরা ফাতেহা পড়া, সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। এরপর অন্যান্য নামাজের মত রুকু ও সেজদা আদায় করা।
  • ঠিক একই ভাবে দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে করতে হয়।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপকারিতা

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার সকল এবাদত গুলো সঠিকভাবে পালন করা তার মধ্যে একটি হল তাহাজ্জুদ এটি একটি নফল ইবাদত। আল্লাহ তাআলা নফল ইবাদতকারীকে অনেক পছন্দ করেন। আপনি যদি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিন।

তাহাজ্জুদ এমন একটি এবাদত যা নিয়মিত কোন ব্যক্তি যদি পড়ে তাহলে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও বরকত লাভ করে থাকে। দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে তা প্রকাশ্য সাতকাহ হয়ে থাকে। কিন্তু মধ্য রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আপনি গোপন সাদকা আদায় করলেন। নফল এবাদতকারীর মনে আল্লাহ তায়ালার ভয় বিরাজ করে। যে ব্যাক্তি প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে তাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহতালা রক্ষা করবেন।

মধ্যরাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে তখন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া হয়। এটি সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত আদায় করতে পারে। যদি মনে করেন রাতের শেষ অংশে আপনার ঘুম ভাঙবে না তাহলে এশার নামাজ শেষে এবং বেতর নামাজের আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে রাতের তৃতীয় অংশের দিকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া অধিক উত্তম। প্রতি রাতের এক তৃতীয় অংশে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে এসে হাজির হন এবং তাদের পাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানান।

আবু হুরাইরা রাঃ বর্ণনা এক হাদীসে এসেছে, যে রাসুল সাঃ বলেছেন, "প্রতি রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশে শেষ আসমানের কাছাকাছি চলে আসেন এবং তাঁর বান্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কে আছ এমন যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, যাতে আমি তার প্রার্থনার জবাব দিতে পারি? কে আছ এমন যে আমার কাছে কিছু চাইবে, যাতে আমি তাকে তার প্রার্থিত ইচ্ছা পূরণ করতে পারি? কে আছ এমন যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, যাতে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি?" {বুখারি ও মুসলিম}

তাহাজ্জুদের নামাজ শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া সুন্নতের অনুসরণ করা। এর মাধ্যমে আত্মার তুষ্টি লাভ করা। মানুষ অনেক গুনাহ করে থাকে এই গুনাহ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবেও আল্লাহ তায়ালা আমাদের একটি উপায় দিয়েছে তা হলো তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা এ নামাজের এতই গুরুত্ব রয়েছে যা আপনার গুনাহ খাতা গুলো নিমিষেই মুছে ফেলতে পারে।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জেনে নিন। অনেকেই আছেন যারা আরবিতে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করে থাকেন। আবার অনেকেই আরবীতে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত মুখস্ত করতে পারেনা। তাদের জন্য আজকে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানাবো। বিভিন্ন উলামায়ে কেরামগণ আরবির চাইতে বাংলায় নিয়ত করার বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কারন আমরা অনেকে আছি যারা সহিসুদ্ধ ভাবে আরবি উচ্চারণ করতে পারি না, এজন্য বাংলায় নিয়ত করাটাই উত্তম।

তাহাজ্জুদ-নামাজের-বাংলা-নিয়ত

নিয়ত মানে সংকল্প বা ইচ্ছা। আপনি যে নামাজই পড়েন না কেন সে নামাজের ইচ্ছা পোষণ করাটাই নিয়ত। তবে অবশ্যই আপনাকে আপনি কোন ওয়াক্তের নামাজ পড়ছেন এবং কয় রাকাত পড়ছেন সেটি মনে মনে প্রকাশ করতে হবে। তাহাজ্জদ নামাজের বাংলা নিয়ত হবে। নিয়তি করে আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ শুরু করতে পারেন। আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য দু’রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছি। "আল্লাহু আকবার"

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি আরবীতে কিভাবে এই নামাজের নিয়ত করতে হয় এই বিষয়ে জেনে নিতে হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত সম্পর্কে যারা জানেনা তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। তবে যারা জানি তারা হয়তো আরবীতে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করে থাকি। তাহাজ্জুদ নামাজে বা কোন নামাজে আরবিতে নিয়ত করা জরুরী নয়। যদি আরবিতে নিয়ত করতে পারেন তবে অবশ্যই করতে পারেন।

আরবিঃ نويت ان اصلي لله تعالى ركعتي صلاه التهجد سنه رسول الله تعالى متوجها الى جهتي كعبه الشريفه الله اكبر

উচ্চারণঃ নাওয়াইতোয়ান উছললিয়া লিল্লাহি তায়ালা রকাতাই সলাতিত তাহাজ্জুদি, সুন্নাতু রসুলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিয়ান ইলা জিহাতি কাবাতিশ সারিফাতি "আল্লাহু আকবার"

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত। তাহাজ্জদ একটি নফল ইবাদত দুনিয়াতে যত নফল এবাদত রয়েছে তার মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ কে শ্রেষ্ঠ এবাদত হিসেবে ঘোষিত করা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত সকলের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জেনে এটি আমল করা। তাহাজ্জুদ প্রতিটা ব্যক্তিদের জন্য মর্যাদার মাধ্যম। ফরজ নামাজের পরেই আল্লাহ তায়ালা তাহাজ্জুদের স্থান দিয়েছেন।

প্রতিটা মুমিন মুসলমানের পাপ মুচনের জন্য তাহাজ্জুদ এক বিশেষ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে পাপ মোচনের উত্তম উপায় বলে দিয়েছেন। এই উপায়টি হলো তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। হজরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী কারিম সাঃ বলেন, "তোমরা তাহাজ্জুদের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস ও রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপ মোচনকারী ও গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।" {তিরমিজিঃ ৩৫৪৯}

প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত প্রতিদিন নিয়মিত তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করে আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহতালা আমাদের প্রতিটা পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন। আমাদের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা। আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ এত দীর্ঘ সময় নিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, নবীজির পা মোবারক ফুলে যেত।

এমতাবস্থায় আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি এত পরিশ্রম কেন করছেন অথচ মহান আল্লাহ আপনার সামনের এবং পিছনের সব গুনহা মাফ করে দিয়েছেন? উত্তরের রাসুল সাঃ বললেন তবে কি আমি কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়া পছন্দ করব না? হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আগের এবং পরের সমস্ত গুনাহ মাফ হওয়ার পরও তিনি আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞ হতে চান। এজন্য তার গুনা খাতা মাফ হওয়া শর্তেও তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন।

তাই আমাদেরও কি উচিত নয় আমরা এত গুনা খাতা করেও আল্লাহতালার কাছে তাহাজ্জুদের নামাজ নামাজের মাধ্যমে আমাদের গুনাহ খাতা গুলোর জন্য ক্ষমা চাওয়া। আমাদের সকল গুনাহ তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে মাফ করে দেন এবং আল্লাহ যেন আমাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তৌফিক দান করেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য অনেকের মনে করেন হয়তো এই নামাজের সূরা গুলো অন্য হয়ে থাকে। তাই আজকে আপনাদের তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানাবো। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষ কোনো দোয়া বা সূরার কথা বলা হয়নি। আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত যে কোন সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়তে পারেন তবে সূরা ফাতেহার পরে যদি কোন বড় সূরা পড়েন তাহলে সেটি উত্তম।

প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পড়ে আয়াতুল কুরসি এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সূরা ইখলাস পড়তে পারেন। আবার অনেক সময় সূরা ফাতেহার সাথে সূরা ইখলাস তিনবার পড়ে থাকেন। এভাবে আপনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন। দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল? এ বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, কারণ তাহাজ্জুদ নামাজটা অনেকেই সঠিকভাবে পড়েন না বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানেন না। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত ফরজ নয় তাহলে এই নামাজটি কি সুন্নত নাকি নফল। তাহাজ্জুদ নামাজ নিঃসন্দেহে একটি নফল ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেই তাহাজ্জুদ নামাজের স্থান আল্লাহ তায়ালার যতগুলো নফল ইবাদত রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হল তাহাজ্জুদের নামাজ। এটি রাতের এক তৃতীয়াংশে পড়া হয় কারণ তখন আল্লাহতালা শেষ আসমানে এসে সকল পাপীকে আহ্বান জানান তাদের পাপ মোচন করার জন্য।

তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয়? তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয় সে বিষয়ে অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে জানেন না। যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন, তাদের অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয়? সে বিষয়ে জানা উচিত। কারণ যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তাকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া উচিত।

তাহাজ্জুদ-নামাজ-কখন-পড়তে-হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ এশার নামাজের পরে এবং বেতর নামাজের আগে পড়া হয়ে থাকে, যদি কেউ রাতের এক তৃতীয়াংশে না উঠতে পারে সে ক্ষেত্রে। তবে রাতের এক-তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া উত্তম। এশারের পর থেকে এবং সুবেহ সাদিকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা হয়। তাহাজ্জুদের নামাজের উপযুক্ত সময় হলো রাত ৩ থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।

তাহাজ্জুদ নামাজ কি ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ কি ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়? তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপযুক্ত সময় কখন সে বিষয়ে আমাদের জেনে থাকা উচিত। কারণ আমাদের পাপ মোচনের উপযুক্ত ইবাদত হল তাহাজ্জুদের নামাজ। এটির মাধ্যমে আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করা যায়। যে ব্যক্তি প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবে। কিন্তু এ তাহাজ্জুদের নামাজ কখন পড়বেন সে বিষয়ে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ শবে কদর সম্পর্কিত হাদিস - শবে কদরের রাত চেনার উপায় কি

তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের এক তৃতীয়াংশে উঠে উত্তম রূপে অজু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হবে। কেউ যদি ঘুম থেকে উঠতে না পারে তাহলে এশার নামাজের পরে এবং বেতর নামাজের আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারে তবে রাতের এক তৃতীয়াংশে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা উত্তম। কারণ সে সময় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা জমিনের নিকট উপস্থিত থাকেন। সকলকে তাদের কাজের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে থাকেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে জানেনা। যদি কেউ প্রথমবার এই নামাজ পড়তে চাই তাহলে তার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া। কারণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত ভাবে এই পবিত্র নামাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়ে জানা উচিত।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে তাহাজ্জুদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url